আরিফা হক পূবাইল প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত সমন্বয়ক রাকিবুল হাসান আশিক (২৪) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে পূবাইল থানা এলাকার নীড় রিসোর্ট ও ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে।অভিযুক্ত আশিক ৪১ নং ওয়ার্ড বসুগাও ক্লাব এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে। সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলার এজহারে জানান, আশিকের সাথে তার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। চলতি বছরের ১৭ জুলাই তাকে বিয়ের কথা বলে গাজীপুর কোর্টে নিয়ে যায় আশিক। এরপর একটি স্ট্যাম্পে উকিলের মাধ্যমে বিয়ের কথা বলে স্বাক্ষর নেয় এবং তাদের বিয়ের দেনমোহর ৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে বলে জানায়। এরপর থেকে আশিককে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েম তার ইচ্ছেমতো চলাফেরা করতেন তিনি। আশিকের কথায় বিশ্বাস করে পুবাইল থানা এলাকার বিলেসড়া নীড় রিসোর্ট ও ঢাকার উত্তরার বিভিন্ন হোটেলে তার সাথে অবস্থান করে শারীরিক সম্পর্ক করেন। আশিকের সাথে দৈহিক সম্পর্কের এক বছর পার হয়ে গেলে তাকে বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে বললে আশিক তালবাহানা শুরু করে। একসময় বিষয়টি আশিকের পরিবারকে অবগত করলে তার চাচাতো ভাই সেলিম, সোহেল ও বন্ধু ইমন ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায়। বিয়ের কথা উপস্থাপন করলে আলোচনা করে পরে জানাবে বলে তারা সময় নেয়। এরপর আশিক গত ১০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মেয়ের বাড়িতে আসে। এসময় মেয়ের ভাবী ইয়ানূরকে ফোনে তাদের দুজনের অন্তরঙ্গ ও শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও দেখায় আশিক। এবং আশিক নিজেকে পূবাইল থানার সমন্বয়ক দাবি করে ওই সকল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখায়। আশিকের ভয়ে ভাবী ইয়ানূর তাকে এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ছাড়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেয়। এরপর থেকে ভুক্তভোগী আশিকের সাথে একাধিকবার ফোনে্ যোগাযোগ করেও কোন খোঁজ মেলাতে পারেনি। তবে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ আছে। জানা যায়, আশিক উত্তরা বা বাংলাদেশের যে কোন স্থানে আত্মগোপনে আছে বা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আমিরুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পূবাইল থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।