রিপোর্টার:জাহিদুল ইসলাম,
বিভাগীয় প্রধান :লবন পানি নামক বিষক্রিয়া থেকে নিজেদের জিবন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য ‘লবন পানি বিরোধী ‘ আন্দোলন শুরু করেছে খুলনার কয়রা উপজেলার সাধারণ জনগণ।পরিবেশ রক্ষার এই আন্দোলনে নারী,পুরুষ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে দাবি তুলেছে বেচে থাকার।ওয়াপদা রাস্তা কেটে হাজার হাজার স্লুইস গেট এবং পাইপ ঢুকিয়ে আবাদি জমিতে লবন পানি তুলে মাছ চাষ করছে একটি প্রভাবশালী মহল।স্থানীয় দালালদের সহযোগিতা জমির মালিকদের চাপ প্রয়োগ করে অল্প টাকায় জমি লীজ নিয়ে সেই জমি বহিরাগত এবং স্থানীয় প্রভাবশালী লীজ মালিকদের কাছে ছাব লীজ দেওয়া হয়।ফলে প্রকৃত জমির মালিক উপযুক্ত টাকাতো পায়ই না আরো চালানো হয় মানসিক নির্যাতন। প্রত্যেক বছর বর্ষা কালে যখন নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপ হয় তখন স্লুইস গেট এবং পাইপ বসানো জায়গা ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। প্রত্যেক বছর প্রস্তুত থাকতে হয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য।
এ ক্ষতিগ্রস্ন গণের মনুষ্য সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে এক ধরনের অলিখিত সন্ধি।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এক মুঠো খাবারের জন্য বসে থাকে যে, কখন ত্রান আসবে।উক্ত অঞ্চলের মানুষ দাবি তুলেছে আমরা আর ত্রান চাইনা, আমরা প্রাণ চাই,লবন পানি মুক্ত কয়রা পাইকগাছা চাই।নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে চাই।