• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]

চট্টগ্রামের ক্যাব পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার দাবিতে ব্যতিক্রমধর্মী রিকসা মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মো.আওরঙ্গজেব ভুঁইয়া,সীতাকুণ্ড চট্রগ্রাম প্রতিনিধি / ১৭৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রিপোর্টারঃ-মো.আওরঙ্গজেব ভুঁইয়া,সীতাকুণ্ড চট্রগ্রাম-সরকার চাল,ভোজ্যতেল,চিনি ও খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক কমিয়েছে।খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর সরকার ৫ শতাংশ রাজস্ব কর হ্রাস করেছে।কিন্তু দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে তার কোনো প্রভাব নেই। উল্টো কমার পরিবর্তে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটারে দুই টাকার কাছাকাছি,পেঁয়াজের দামও আগের মতোই অস্থির।কিন্তু মূল্য পরিস্থিতি ভোক্তার কাঙ্ক্ষিত নাগালের কাছে–মধ্যেই আসছে না।ভরা মৌসুমের মধ্যে একদিকে চালের ঊর্ধ্বমূল্য, অন্যদিকে শীতকালীন শাক–সবজির ভালো উৎপাদনের মধ্যে এসবের মূল্য সাধারণের ক্রয়-ক্ষমতাকে সদম্ভে বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়ে যাচ্ছে।আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারনে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বারবার পেয়াঁজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি,মজুত ও অতিমুনাফাসহ নানা কারসাজি করছেন।আর যারা এগুলো দেখার দায়িত্ব তাঁরা দেখেনি বা কোন অভিযোগ পাই নাই এভাবে নানা অজুহাতে বিষয়টিকে পাশকাটানোর কারনে ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছে।ব্যবসায়ীরা একবার পেয়াঁজ,একবার আলু,একবার আদা-মসলা,আরেকবার স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেবার কারনে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যহত হচ্ছে।আর সংকট হলেই প্রশাসন বলেই বেড়ান সাড়াশি অভিযান হবে বলে হুংকার দিলেও শেষ পর্যন্ত খুচরা দোকানে লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছাকে কার্যত ব্যর্থ করে দিচ্ছেন।যার কারনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বাজার তদারকিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশনা দিলেও সেগুলো কাগজে কলমেই থেকে যাচ্ছে।মাঠ পর্যায়ে তার কোন সুফল আসছে না। ১৩ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ইং ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে রিকসা মিছিল ও মানব বন্ধনে ক্যাব চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।ক্যাব যুব গ্রæপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় রিকসা মিছিল ও মানব বন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন,পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ ইদ্রিস আলী,ন্যাপ কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত,ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর,ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম,ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম,ক্যাব বায়েজিদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবম হুমায়ুন কবির,ক্যাব হাটহাজারীর লায়লা ইয়াছমিন,ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন,এমদাদুল ইসলাম, আবরারুল করিম নেহাল,আরাফাত হোসেন,সাফার আহমেদ,তানিয়া সুলতানা,রাকিবুল ইসলাম,আতিশ বড়ুয়া,কোবাইস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত।একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর যুক্তি রমজানে একমাস ব্যবসা করবে,১১ মাস বসে থাকবো। সেকারনে রমাজান মাসে মৌসুমীর ব্যবসায়ীর ছাড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অংক বাড়ে।কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট,আড়তদার পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু,পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মুজত ও কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছেন।দেশের চাহিদার সিংহভাগ দেশীয় উৎপাদন দিয়ে মেটানো সম্ভব হলেও ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত পেঁয়াজ-আলু বিক্রিতে স্বাচ্ছ্যন্দ ২০১৯ সালেও এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা একই কায়দায় পেয়াঁজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিলো।এবারও তারা একই কায়দায় ক্রেতাদের পকেট কাটছে।প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেই ধর্মঘটসহ নানা হুমকি প্রদান করছে।অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারনে তারা বার বার এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকরী ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমান আদালত,সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম উদ্ভাবনী মডেল হলেও বর্তমানে সেটাকে অকার্যকর করতে নানা চক্রান্ত চলছে।প্রশাসন অভিযান চালালেই ব্যবসায়ীদের প্রতি হয়রানি বলে এটা বন্ধে নানা অপতৎপরতা চালান।গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন।মানুষরূপী এসমস্ত মূল্য সন্ত্রাসীরা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টাষোকতায় রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় তাদের অংশগ্রহন বারবার বাড়ছে। একদিকে তারা রাজনৈতিক দল,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান দিয়ে বাহবা খুড়াঁয়।বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও মিডিয়াগুলো তাকে আবার সাদা মনের মানুষ বলে প্রচার করেন।অথচ তার আয়ের উৎস কি কেউ জানার চেষ্টা করেও না। একারনে তারা একবার জনগনের পকেট কাটার জন্য খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেন। আবার দলীয় এমপি,নেতা হবার জন্য আরেকবার লগ্নি করেন।তাদেরকে আশ্রয় পশ্রয় না দিলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এভাবে বিষফোড়া হয়ে জাতির জন্য হুমকি হতে পারতো না।তাই এখন সময় এসেছে জনগনকে সংগঠিত হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় টিসিবি ও খাদ্যবিভাগের ওএমএস এর পণ্য সংগ্রেহে লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও জনদরদী নেতাদের ও তথা কথিত ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের তাদের কথা ভাববার সময় নেই।যার কারনে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয়কে ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।বিষয়গুলি অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেবার মতো।ফলে ব্যবসায়ীরা মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ,একবার চাল, একবার মসলা,একবার সয়াবিন এভাবে পুরো বছর জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জনগনের পকেট কাটছে।

Share


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা